🔹 অধ্যায় ১: এক অজানা গ্রামের গল্প
অনেক অনেক বছর আগে, নদিয়ার সীমান্তে অবস্থিত ছিল এক ছোট গ্রাম — নাম ছিল আঁধারিপুর। গ্রামের লোকসংখ্যা ছিল কম, কিন্তু সবাই খুব নিরীহ আর পরিশ্রমী। তবে এই গ্রাম নিয়ে আশেপাশে গুজব ছিল যে, এখানে রাতে নাকি কেউ ঘরের বাইরে থাকে না।
একদিন এক সাংবাদিক সেখানে যায় গ্রাম সম্পর্কে লিখতে। গ্রামের প্রবেশমুখে সে দেখতে পায় — একটা জং ধরা সাইনবোর্ড, লেখা: "সন্ধ্যার পরে সাবধান!"
🔹 অধ্যায় ২: সন্ধ্যার অভিশাপ
সাংবাদিক রজত সন্ধ্যায় যখন গ্রামের ভিতর হাঁটছিলেন, তখন হঠাৎ করেই বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
এক বৃদ্ধা তাকে সতর্ক করে দেয় —
"ছেলে, সন্ধ্যার পরে কেউ বাইরে থাকে না… ভূত ঘোরে এখানে, সেই ১৯৭১ সাল থেকে!"
রজত হাসেন, বলেন, "ভূত আবার সত্যি নাকি?"
🔹 অধ্যায় ৩: ১৯৭১-এর সেই ভয়ঙ্কর রাত
বৃদ্ধা শুরু করলেন গল্প —
"১৯৭১ সালে এখানে ছিল এক জমিদার — দীনেশ বাবু। খুবই নিষ্ঠুর ছিলেন। গ্রামের একটি মেয়ে, কুন্তলা, তার অত্যাচারে আত্মহত্যা করে। সেই রাত থেকেই শুরু হয় কান্ড। জমিদার নিজের ঘরে নিজেই পুড়ে যান — কোনো আগুন ছাড়াই!"
সেই থেকে প্রতি পূর্ণিমা রাতে কেউ না কেউ অদ্ভুতভাবে মারা যেতো। পুলিশের রেকর্ডে এই মৃত্যু কখনও ব্যাখ্যা হয়নি।
🔹 অধ্যায় ৪: সাংবাদিকের রাত
রজত সব শুনে সিদ্ধান্ত নেয় — আজ রাতে থেকে দেখবে কী ঘটে।
সে গ্রামের মাঝের ফাঁকা মাঠে বসে থাকলো ক্যামেরা ও নোটবুক নিয়ে।
[SFX: ticking clock, night insects]
রাত ১২টা। হঠাৎ ক্যামেরা বন্ধ হয়ে গেলো। চারপাশে অন্ধকার আরও গাঢ় হয়ে উঠল।
একটা মেয়ের কণ্ঠ ভেসে এল —
"তুমি ওদের মতোই...তোমারও হবে শাস্তি!"
🔹 অধ্যায় ৫: হারিয়ে যাওয়ার পরিণতি
সকাল হল। রজতকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তার ক্যামেরা ও নোটবুক পরে ছিল মাঠে।
নোটবুকে লেখা ছিল শেষ কয়েকটি শব্দ —
"কুন্তলা সত্যি ছিল… অভিশাপ এখনো বেঁচে…"
গ্রামের মানুষ এখনো ওই মাঠে যায় না। কুন্তলার মৃত্যুস্থলে কেউ সন্ধ্যায় দাঁড়ায় না।
✨ Conclusion (Call to Action):
"এই গল্প যদি আপনাকে ছুঁয়ে যায়, তাহলে শেয়ার করুন Banglar Biplab-এর এই পোস্ট। আপনার নিজের গ্রামের কোনো ভৌতিক কাহিনী থাকলে, আমাদের ইনবক্সে জানান। আমরা শুনতে চাই।"
📲 Follow us for more real horror:
-
Facebook: https://www.facebook.com/Biplabdasbipu24
-
Instagram: https://www.instagram.com/technobipu24
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন