📖 এক ভয়ঙ্কর ভুতের কাহিনী - 'অভিশপ্ত গ্রাম পান্নাগড়'




🧩 পান্নাগড়ের নাম শুনলেই শিউরে উঠত সবাই

পশ্চিমবঙ্গের এক প্রত্যন্ত গ্রাম – পান্নাগড়। খুব সাধারণ দেখতে হলেও গ্রামের গায়ে লেগে আছে এক ভয়ঙ্কর ইতিহাস। লোকেরা বলে, “ওই গ্রামে রাত নামলে আর মানুষ বাঁচে না।” একসময় খুবই চঞ্চল ছিল এই গ্রাম। মাঠে কাজ, বটতলায় পাটচালান, রাতের আড্ডা—সব ছিল স্বাভাবিক। হঠাৎ এক রাতে ঘটল সেই ঘটনা যা বদলে দিল সবকিছু।

১৯৯৭ সালের নভেম্বর। এক চাষি—হারান মণ্ডল, মাঠ থেকে ফিরছিল। কিন্তু সে আর ঘরে পৌঁছাল না। সকালে তার মৃতদেহ পাওয়া গেল গ্রামের শ্মশানের পাশে। মুখটা এমন বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে কেউ চিনতেই পারছিল না। মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ, চোখদুটো ছিল বিস্ফারিত। আরেকটা অদ্ভুত ব্যাপার—তার আশেপাশে ছিল ছায়ার মতো বড় বড় পায়ের ছাপ!

এরপর একের পর এক মানুষ রাত হলেই নিখোঁজ হতে লাগল। কেউ আবার পাগল হয়ে ফিরল, কেউ আর ফিরে এল না। গ্রামবাসীরা দিনের পর দিন গ্রামের মন্দিরে পুজো দিল, তান্ত্রিক ডাকা হল, ঝাড়ফুঁক চলল। কিন্তু সব কিছু ব্যর্থ হল।

একদিন গ্রামের এক বৃদ্ধা—রুকমিণী দিদা এক গোপন কথা ফাঁস করলেন। এই গ্রামে প্রায় ২০০ বছর আগে এক জমিদার ছিল, নাম ছিল গজানন রায়। অত্যাচারী মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের উপর চরম অত্যাচার করত। এক বিধবা মহিলা তার কাছে বিচার চাইতে এলে, সে রাতেই জমিদার তাকে খুন করে। কিন্তু তার আত্মা শান্ত হয়নি। তার মৃত্যুর পরেই জমিদারের বাড়িতে আগুন লাগে, তার পুরো পরিবার মারা যায়। সেদিন থেকেই এই গ্রামে শুরু হয় অশুভ ঘটনা।

আমি, অমিতাভ চক্রবর্তী, কলকাতার ছেলে। গ্রাম্য জীবনের ছবি তুলতে গিয়েছিলাম পান্নাগড়ে। প্রথম দু’দিন সব ঠিক ছিল। তৃতীয় রাতেই আমি শুনতে পেলাম কার যেন হাঁটার শব্দ, জানালার বাইরে ছায়া। পরের দিন এক বৃদ্ধ বললেন, "ভূতরা কাউকে একা থাকতে দেয় না এখানে।"

গ্রামের পুরুত সিদ্ধান্ত নিলেন—এই আত্মাকে মুক্তি না দিলে গ্রাম বাঁচবে না। এক বিশেষ পূর্ণিমায় আয়োজন করা হল "অভিশাপ মুক্তি যজ্ঞ"। রাতের ঠিক ১২টায় শুরু হল যজ্ঞ। হঠাৎ চারদিক ঝড়ের মতো হয়ে উঠল, আগুনের রং নীল হয়ে গেল। তখন সবাই দেখল এক মহিলা ছায়া—শাড়ি পড়া, মাথা নিচু করা—যজ্ঞের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

পুরুত মন্ত্রপাঠ করতে থাকলেন, ধূপের ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে গেল। হঠাৎ ছায়াটি গলে গিয়ে মাটিতে মিশে গেল। পরদিন সকালে গ্রামের পরিবেশ ছিল শান্ত, যেন কোনো অভিশাপ কেটে গেছে।

আজ প্রায় ২০ বছর কেটে গেছে, কিন্তু এখনও কেউ রাতে একা মাঠে যায় না। কেউ কেউ বলে, সেই ছায়াটি মাঝে মাঝে কুয়োর পাশে দেখা যায়। আর রাত হলে কুকুররা হঠাৎ করে চিৎকার করে ওঠে।

📣 শেষ কথা:

এই গা ছমছমে ভুতের কাহিনী আপনাদের কেমন লাগল, কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আরও এমন গল্প পেতে নিয়মিত পড়তে থাকুন Banglar Biplab ব্লগ।

👉 আরও পড়ুন আমাদের গল্পগুলো:
🔗 Read Now: https://banglarbiplab.blogspot.com

📲 Follow us for more updates:
🔵 Facebook: https://www.facebook.com/Biplabdasbipu24
📸 Instagram: https://www.instagram.com/technobipu24
▶️ YouTube: https://www.youtube.com/@Banglarbiplab04

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন