📖 ভয়ঙ্কর ভুতের কাহিনী: এক অভিশপ্ত গ্রামের ভৌতিক কাহিনী
সেই রাতটা ছিল আশ্বিন মাসের অমাবস্যা। হাওয়ার গতি ছিল অস্বাভাবিক। আমি, তন্ময় ও রাজা — তিনজন বন্ধু বেড়াতে গিয়েছিলাম মুর্শিদাবাদ জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে, নাম চণ্ডিপুর।
চণ্ডিপুর ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে, পুরনো কীর্তি আর কথিত অভিশাপে মোড়া। গাঁয়ের মানুষজন জানালো—সন্ধ্যার পরে যেন কেউ গ্রাম থেকে জঙ্গলের দিকে না যায়।
কেন?
"ওদিকটা অভিশপ্ত," বললেন ৭০ বছরের বুড়ো মধু কাকা।
"জানিস, ওই জঙ্গলে আজও এক মেয়ের কান্না শোনা যায়।"
চণ্ডিপুরের পাশেই ছিল একটি পোড়ো বাড়ি। বহু বছর আগে এক জমিদারের ছিল। জমিদার হঠাৎ এক রাতে তার কন্যাকে মেরে ফেলে—এমনটাই শোনা যায়।
কন্যার নাম ছিল কৃষ্ণা। খুব সুন্দরী, কিন্তু অকালমৃত। শোনা যায়, সে আত্মহত্যা করেনি, তাকে বলি দেওয়া হয়েছিল।
রাতের বেলা সেই পোড়ো বাড়ির দিক থেকে কান্না, হাসি, দরজার শব্দ, এমনকি নাম ধরে ডাকার আওয়াজও শোনা যায়।
তন্ময় সাহসী ছিল, ওর মাথায় বজ্জাতি ঢুকে যায়। বলে বসলো,
"চলো রাত ১২টায় পোড়ো বাড়িতে ঢুকি, দেখি কিছু সত্যি আছে কি না।"
আমরা সেদিন রাতে ফুঁ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দিকে যাই। দূর থেকে দেখি, জানালায় আলো জ্বলছে! কে থাকতে পারে?
আমরা ঢুকতেই ঠাণ্ডা হাওয়া কেমন একটা মৃত্যুর গন্ধ নিয়ে এলো। চারদিকে নীরবতা, আর বাড়ির মধ্যে এক মহিলা দাঁড়িয়ে—সাদা শাড়ি, কুঁচকে যাওয়া মুখ, রক্তে ভেজা পা।
আমরা পেছনে ঘুরতে যাচ্ছি, হঠাৎ সেই মহিলার গলা শোনা গেল —
"রাজা... তুই এলি!"
আমরা ভয়ে গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। রাজা বলে উঠলো, "তুমি কে?"
কিন্তু উত্তর নেই। তার বদলে একটা বিকট হাসি — মনে হচ্ছিল গলার কোথাও ছেঁড়া গেছে, একটা আওয়াজ নয়, যেন আত্মার চিৎকার।
হঠাৎ সে ভেসে উঠল! রাজা দৌড়ে পালাতে চাইলে... সে ছায়ামূর্তি ওকে ছুঁয়ে ফেলে। রাজা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে — চোখ খোলা, নিঃসাড় দেহ।
আমরা রাজাকে ধরে বাঁচাতে পারিনি। পরদিন ওর দেহ পাওয়া যায় পোড়ো বাড়ির পেছনে ঝোপে, গলা দাগ কাটা — যেন কেউ নখ দিয়ে ছিঁড়ে দিয়েছে।
পুলিশ এলো, রিপোর্ট হলো, কিন্তু গ্রামের মানুষ বললো,
"এটা তো নতুন কিছু না। আগেও হয়েছে। অভিশাপ!"
তন্ময় আর আমি চণ্ডিপুর ছেড়ে চলে এলাম, কিন্তু সেই রাত আমাদের বদলে দিয়েছিল। আমি মাঝরাতে এখনও রাজার চিৎকার শুনি। তন্ময় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
আর একটা জিনিস... এখন মাঝেমাঝেই আমি আয়নায় এক নারী মূর্তি দেখতে পাই — মুখ নেই, কিন্তু চোখ দুটো লাল। কৃষ্ণা কি ফিরে এসেছে?
গবেষণা করে জানতে পারি — চণ্ডিপুর আসলে এক বলিদানস্থল। জমিদার দেবতা তুষ্ট করার জন্য প্রতি বছর নিজের কন্যাদের বলি দিতেন। কৃষ্ণা ছিল শেষ বলি।
তারপর থেকেই শুরু হয় এই অভিশাপ — যেখানে মেয়েরা কান্না করে, পুরুষরা মরে, আর যেকোনো আগন্তুক হারিয়ে যায়।
কিন্তু যাদের প্রাণ গেছে, যাদের গলা কাটা মৃতদেহ মেলে, তারা কি ফিরে আসে না?
কৃষ্ণা আজও আছে। সে ডাকে।
আপনি কি যাবেন চণ্ডিপুরে?
এই গা-ছমছমে কাহিনী যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্কগুলোতে আমাদের ফলো করুন। প্রতিদিন ভুতুড়ে গল্প নিয়ে ফিরে আসি!
🔗 Follow Us:
-
Facebook: https://www.facebook.com/Biplabdasbipu24
-
Instagram: https://www.instagram.com/technobipu24
Blog Website: https://banglarbiplab.blogspot.com
📌 ভয় পাবেন না, শেয়ার করুন এই গল্পটা আপনার বন্ধুদের সাথে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন